প্রবন্ধ


বাংলার কৃষক আন্দোলন : অক্টোবর বিপ্লবের আগে ও পরে

অক্টোবর বিপ্লবের খবর যখন ভারতে এসে পৌঁছায় তখন একদিকে মুক্তিকামী অনেক মানুষ, বিশেষত তরুণদের উদ্দীপ্ত করে অন্যদিকে ব্রিটিশ শাসকদের ত্রস্ত করে তোলে। ব্রিটিশ-ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি যখন গঠিত হয় তখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বহু ধরনের তৎপরতা শাসকদের এমনিতেই ব্যতিব্যস্ত করে রাখছিল। অক্টোবর বিপ্লব ধ্বংস করতে যেসব সাম্রাজ্যবাদী শক্তি রাশিয়ার ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে তাদের মধ্যে ব্রিটিশ সরকারও ছিল। তাই ভারতে কমিউনিস্ট তৎপরতার বিষয়ে সরকারের আগাম সতর্কতা ছিল। সেজন্য প্রথমেই ধরপাকড় নিপীড়ন শুরু হয়। বইপ্রচারপত্রসহ সব ধরনের বিপ্লবগন্ধী তৎপরতা নিষিদ্ধ ছিল। এই অঞ্চলে কমিউনিস্ট আন্দোলনের গোড়াপত্তনকারীদের একজন কমরেড মুজফ্‌ফর আহমদ। তাঁর কাছ থেকে এসবের বহু খবর পাওয়া যায়।
আরও দেখুন >>

User Reviews

No reviews


Related প্রবন্ধ






পৃথিবীর পাঠশালায়

যে সময়ে আমি ১৭-১৮, সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে নকশালবাড়ির গণ অভুত্থান হয়ে। গেছে। আমার বন্ধুরা কেউ কেউ ঘর ছেড়েছে। সোভিয়েত রাশিয়াকে তখন সোভিয়েত সাম্রাজ্যবাদ নামে যথেচ্ছ গালাগালি দেওয়া হত। দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হত চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান। কত সব স্লোগান লেখা হত, উচ্চারিত হত। একটি ছিল আমার খুব পছন্দের, গ্রামে ‘গ্রামে ডাক পাঠাও, জোট বাঁধো তৈরি হও।’ সেই ১৭ থেকে ২২-২৩ বছর বয়স ছিল ভয়ের সময়। পুলিশি সন্ত্রাস নেমে এসেছিল সেই সব বিপ্লবীদের শেষ করে দিতে। দুই প্রতিভাবান কবি, বিপ্লবী কবি তিমিরবরণ সিংহ এবং দ্রোণাচার্য ঘোষের মৃত্যু হয়েছিল পুলিশের হাতেই। জেলখানায়। সরোজ দত্তের নিহত হওয়ার কথা নতুন করে বলার নয়।
আরও দেখুন >>



ইমপার্ফেক্ট সিনেমার সন্ধানে : তমাস আলেয়া’র মেমোরিজ অব আন্ডারডেভেলপমেন্ট এবং মৃণাল সেনের ভুবন সোম

And of me I must say That following serenely, Without fear of the lightning and thunder I am working out the future. —Jose Marti ভূমিকা ১৯৬০ দশকে ক্যুবা ও ভারতের চলচ্চিত্রে বেশ কতকগুলি র‍্যাডিক্যাল পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। সত্যি কথা বলতে কি, কেবল ক্যুবা বা ভারত নয়, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের চলচ্চিত্রে এই দশকে গুরুত্বপূর্ণ সব পরিবর্তন দেখা যায় যা কিনা বিশ্বব্যাপী ‘সিনেমা অব লিবারেশন’-এর জন্ম দেয়। এইসব ছবির উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের তীব্র বিরোধিতা করা এবং আর্ট ফিল্ম নামক ইউরোপীয় ধারণার ‘সমালোচনা’ করা। এই প্রতিরোধমূলক চলচ্চিত্রগুলি চাইছিল এমন এক ধারা তৈরি করতে যা উত্তরৌপনিবেশিক শ্রেণিবিভক্ত সমাজে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ব্যর্থতা-সাফল্য, প্রতিরোধ-প্রতিবাদের কথা বলবে। সে চলচ্চিত্র কথা বলবে তার নিজস্ব ভাষায়। সে ভাষা হলিউডের কন্টিনিউইটি এডিটিং-নির্ভর পেলব ভাষা নয়, আবার ইউরোপীয় আভা-গার্দ শিল্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ‘আর্ট’-এর এলিট ভাষাও নয়। এ ভাষা হবে তৃতীয় ধারা।
আরও দেখুন >>



মানবেন্দ্রনাথ রায়ের বিস্মৃত অতীত

মানবেন্দ্রনাথ রায় (১৮৮৭-১৯৫৪) নামে খ্যাতি অর্জনের আগে তিনি ছিলেন নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। স্বদেশি আন্দোলন (১৯০৬-০৭) থেকে ইন্দো-জার্মান ষড়যন্ত্রের (১৯১৫) মধ্যবর্তী বছরগুলোয় কলকাতা এবং আশেপাশের অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী গুপ্ত সমিতির দক্ষ কর্মী ও সংগঠক হিসেবে পুলিশের খাতায় তাঁর রাজনৈতিক আত্মপ্রকাশ। মার্কিন মুলুক থেকে মেহিকো যাত্রা, লেনিনের সঙ্গে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের মঞ্চে ঔপনিবেশিক দুনিয়ায় শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে সাম্যবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক তাঁকে মানবেন্দ্রনাথ রায় করে তোলে। ছদ্মনাম হয়ে দাঁড়ায় প্রকৃত নাম। হারিয়ে যায় পুরোনো বিপ্লবী ধারার রেশ। নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক জীবন, সামাজিক অস্তিত্ব ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। জাতীয়তাবাদী চরমপন্থা নিম্ন মধ্যবিত্ত হিন্দু ভদ্রলোক যুবক সমাজকে আকৃষ্ট করেছিল। সে পরিবেশে শ্রমজীবী মানুষ বড়োজোর ছিলেন করুণার পাত্র। বিপ্লবের নেতৃত্ব তাঁদের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা গোড়ার দিকের জাতীয়তাবাদী বিপ্লবীরা কল্পনা করতে পারেননি। নরেন্দ্রনাথ এই রাস্তায় চলছিলেন। কিন্তু ১৯১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লবের ঝাপটায় দিক বদলে যায়।
আরও দেখুন >>

বাংলাদেশ ও অক্টোবর বিপ্লব : রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্রতার ইতিহাস-সন্ধানে

পটভূমি ১. অক্টোবর বিপ্লবের ফলে রুশাতঙ্কের মাত্রা বেড়ে গেলেও ভারতবর্ষের ব্রিটিশ শাসকদের জন্য এই আতঙ্কের রয়েছে একটি পূর্ব ইতিহাস। আর ব্রিটিশের এই রুশাতঙ্ক রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে তার ছেলেবেলাতেই একখানা রাশিয়ার চিঠি’ লিখিয়ে নিয়েছিল। তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স মাত্র আটবছর। পরবর্তীকালে জীবনস্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঘটনার বিবরণ লিখেছিলেন। নিম্নরূপ: বেশ মনে আছে, আমাদের ছেলেবেলায় কোনো এক সময়ে ইংরেজ গভর্নমেন্টের চিরন্তন জুজু রাশিয়া কর্তৃক ভারত আক্রমণের আশঙ্কা লোকের মুখে আলোচিত হইতেছিল। কোনো হিতৈষী-আত্মীয়া আমার মায়ের কাছে সেই আসন্ন বিপ্লবের সম্ভাবনাকে মনের সাথে পল্লবিত করিয়া বলিয়াছিলেন। পিতা তখন পাহাড়ে ছিলেন।
আরও দেখুন >>

বিশ্ববিপ্লবের প্রথম দিন

গত প্রায় এক বছর ধরে বিংশশতাব্দীর অন্যতম ঘটনা, যুগান্তকারী অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব নিয়ে আলোচনা চলছে। পক্ষে ও বিপক্ষে সহস্র মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি, পুনর্মূল্যায়ন পর্ব চলছে। অনেকে মনে করেন যে, এই ঘটনা রুশ দেশ তথা বিশ্বসমাজব্যবস্থাকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। যার দরুন রুশদেশ ও সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রে বহু প্রাণহানি থেকে শুরু করে অজস্র নঞর্থক ঘটনা ঘটে। অপর দিকে রয়েছেন আর এক দল। যাঁরা মনে করেন যে মানবজাতির মঙ্গলের দিক দিয়ে এই বিপ্লবের গুরুত্ব অপরিসীম। অবশ্য এমনও অনেকে আছেন যাঁরা মনে করেন যে, শতবর্ষ পুরোনো এই ঘটনার আজকের দুনিয়ায় কোনও প্রাসঙ্গিকতাই নেই, তাই এটিকে ভুলে যেতে পারলেই ভালো।
আরও দেখুন >>


গ্রাহক হোন

বাংলা ও বাঙালির চিন্তাভাবনার সঙ্গী হতে জর্নালের সংযোগনীড়ের গ্রাহক হোন।

Subscribe to familiarize yourself with Bangla and Bangali.