প্রবন্ধ


কোভিডকাল—সাহিত্য ও অভিজ্ঞতায়

একবার ট্রেনে এক হিন্দিভাষী তরুণ প্রকৌশলীর অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল, সে জানতে চেয়েছিল—‘বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নতুন নতুন খোঁজ পাওয়া যায়, জীবনের নানা ক্ষেত্রে সে খোঁজ কাজে লাগে, কিন্তু সাহিত্য গবেষণার কাজ কী? সাহিত্যে আমরা কী খুঁজে পাই, তার গুরুত্বই বা কী?’ প্রশ্নটা ‘অদ্ভুত’ এই কারণে, জানতাম সাহিত্য সম্পর্কিত একটা প্রচলিত সীমাবদ্ধ ধারণা থেকে প্রশ্নগুলির জন্ম, তবে প্রশ্নগুলি করার মাঝে সাহিত্যকে ছোটো করে দেখার মানসিকতা ছিল না, ছিল সাহিত্যের গুরুত্ব সম্পর্কে জানার কৌতূহল। আমি তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে গল্পের ছলে বৈদিক যুগ বা প্রাচীন ভারতের মানুষ, সমাজজীবন, অতীত সময় সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন করে বসি। উত্তরে বলেছিল, তাহলে আমাদের ইতিহাস কিংবা বেদ, উপনিষদ, অন্যান্য প্রাচীন সাহিত্য পড়তে হবে। আমি তাকে বলেছিলাম ‘আসলে সাহিত্যের সার্থকতা এখানেই, যা বিজ্ঞানে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। সাহিত্য গবেষণার মূল অন্বেষণ সেখানেই, যেখানে বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা সেখানে সাহিত্য বিজ্ঞানকে দেখিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি অন্বেষণের উদার উন্মুক্ত পথ, সাহিত্য এখানে নতুন খোঁজের দিশারি। প্রতিটি বিষয়ই সাহিত্যের অংশ, আবার
আরও দেখুন >>

User Reviews

No reviews


Related প্রবন্ধ


শতবর্ষে মৃণাল রাজপথ থেকে পরিবার: সত্যের সন্ধানে মৃণাল

রাজনৈতিক চলচ্চিত্র নির্মাণের চেয়ে চলচ্চিত্রকে রাজনৈতিকভাবে নির্মাণের প্রয়াসটাই বেশি চোখে পড়ে মৃণাল সেনের বেলায়। এর কারণ তিনি যে সময়ের ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠেছেন, সেই সময়টি ছিল ক্রান্তিকাল, ঔপনিবেশিক শক্তিকে পরাজিত করতে চাওয়া জাতীয়তাবাদী চেতনার উত্থানপর্ব। মৃণাল সেন জন্মেছিলেন ১৯২৩ সালের বাংলাদেশে, ফরিদপুর অঞ্চলে। তাঁর বয়স যখন আট, তখন বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম’ গান গেয়ে মিছিলে অংশগ্রহণের দায়ে আটক হন তিনি। পুলিশের জিম্মায় ঘণ্টাখানেক থাকার পর রেহাই পান, নেহাতই বয়স কম বলে। রাজনৈতিক দীক্ষা তিনি পেয়েছিলেন আইনজীবী বাবার কাছ থেকে। সে সময়কার বিপ্লবী, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আইনি সহায়তা দিতেন মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র সেন।
আরও দেখুন >>

মহেন্দ্রলালের ভারতীয় বিজ্ঞান চর্চা সভা এবং ভারতে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূচনাপর্ব

“আমরা যে প্রতিষ্ঠানটি চাই তার কাজ হবে জনগণকে বিজ্ঞানশিক্ষা দেয়া। সেখানে নিয়মিত বক্তৃতার ব্যবস্থা থাকবে, বক্তারা বিষয়বস্তু বোঝাবার জন্য পরীক্ষা দেখাবেন, এবং শ্রোতাদেরও আহ্বান করা হবে সেইসব পরীক্ষা সম্পাদন করতে। আমাদের ইচ্ছা, প্রতিষ্ঠানটি থাকবে সম্পূর্ণভাবে স্বদেশী পরিচালনায় ও নিয়ন্ত্রণে।” (মহেন্দ্রলাল সরকার, বিজ্ঞানসভার প্রস্তাবনা) ভারতবর্ষের ইতিহাসে ১৮৭৬ সালটি অনেক দিক থেকেই একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। মহারানি ভিক্টোরিয়া এই বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতমুকুট মাথায় নেন। যার ফলে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাতে ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তরিত হওয়া সুনিশ্চিত হলো। বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কোহিনুর হিসেবে উদ্ভাসিত হলো ঔপনিবেশিক ভারত। ভারতবর্ষের নব্য-ভূস্বামী এবং নবজাত ভারতীয় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা কোম্পানির আমল পার হয়ে, মহারানির রাজত্বে ঠাঁই পেয়ে, যারপরনাই উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিল।
আরও দেখুন >>

বিশ্বায়নের কিস্সা, কিস্সার নারী এবং আফসার আমেদের একটি কিস্সা

দিনের আলো গত হওয়ার পর ছোটো কুপি বা লন্ঠনের আলোয় দাদি-নানিরা আসর বসাতেন। কিস্‌সার আসর। আধুনিক প্রযুক্তির বাড়বাড়ন্ত যখন গ্রামবাংলার কুঠিরে থাবা বসাতে পারেনি, তখন বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গল্প বা কিস্‌সার আসর মানুষকে মগ্ন করে রাখত। এই আসরি বিনোদনের পরম্পরাটি আজ গ্রামের জীবন থেকেও হারিয়ে গেছে। টেলিভিশন বা অতি সম্প্রতি স্মার্টফোনের আগ্রাসী প্রভাব সমস্ত বয়সের মানুষের কাছেই নেশার সামগ্রী হয়ে পড়েছে। আজ মানুষের কাছে বিনোদনের বহুমাত্রিক স্তর উপস্থিত হলেও, কয়েক দশক আগে মানুষের কাছে বিনোদনের এই বহুমাত্রিক পরিসর ছিল না। মানুষ সীমিত কিছু বিনোদনের সংরূপেই মজে থাকতেন। তেমনই একটা বিনোদন হল ‘কিস্‌সা’। এই ‘কিস্‌সা’ শব্দটি এসেছে ফারসি শব্দ থেকে, যার অর্থ কাহিনি।১ তবে, আমাদের পরম্পরায় কিস্‌সা— গল্প বা কাহিনি থেকে নিজেকে কিছুটা স্বতন্ত্র রেখেছে। আদি-মধ্য-অন্ত সম্বলিত গল্প বা কাহিনির বাঁধাধরা গঠনের বাইরে কিস্‌সা তার প্লটে, প্রবহমানতাকে গুরুত্ব দিয়েই সেই স্বাতন্ত্র্যকে মান্যতা দিয়েছে। কিস্‌সার আখ্যানভাগ রূপকথা-রাজকন্যা-অর্ধেক রাজত্ব-দুষ্ট পুরুষের লালসা-মৌলবির লাম্পট্য-বোকা বৌ-এর বোকামি ইত্যাদি হরেকরকম ঝুলিতেই ভ
আরও দেখুন >>

কবিতা, ভাবনা, জীবনানন্দ

সততা-অসততা বলতে, সত্য এবং মিথ্যা বলতে ঠিক কী বোঝায় সে-সম্পর্কে কাজ চলবার মতো ধারণা আমাদের সকলের আছে। কাজ-চলতি সেই বোঝাপড়ার কোনও এক গভীরতায় ধরা পড়ে সত্য এবং সাক্ষ্যের নিবিড় সম্পর্ক। যা বাস্তব—ঘটমান বা অস্তিত্ববান—তার যথাযথ ও অবিকৃত বর্ণনাকে আমরা চিহ্নিত করি সত্যবচন বলে। আদালতের আইনে আমরা আস্থা রাখতে পারি বা না পারি, মানুষের নিয়মকানুনের, তার আন্তরিক নিয়মানুবর্তিতার ভিতজমি তৈরি হয় অস্তিত্ব ও তার বাণীরূপের এই সুস্থির সম্পর্কের মধ্য দিয়ে। আমরা ভাবতে পারি যে এই সুস্থিরতাকে পূর্বাপর বিঘ্নিত করে নয়, কিন্তু এরই অল্প পাশ দিয়ে, খানিকটা গা-আলগা দিয়ে কবিতার জন্ম হয়।
আরও দেখুন >>

স্বপ্ন হলেও সত্যি: অসম্ভবের রাজনীতি প্রসঙ্গে

১৯৬৮ সালে পারি (Paris) যখন বিপ্লবী মাদকতায় আসক্ত, তখন শহরের দেওয়ালে একটি লেখা দেখা গিয়েছিল: “বাস্তবধর্মী হও। অসম্ভবের দাবি জানাও”। প্রথমদৃষ্টিতে বাক্যগুলি পরস্পরবিরোধী মনে হলেও, তার মর্মে কিন্তু একটা গূঢ় সত্য রয়েছে। তার কারণ, কোন ধরনের রূপান্তরমূলক রাজনীতি কার্যকর করার জন্য কী করা দরকার, কথাটি তারই নির্দেশ করে। রূপান্তরকামী রাজনীতির সূচনা হয় এক ভিন্ন জগৎ কল্পনা করে—এক ভিন্ন জগতের স্বপ্ন দেখে। আর সেই কল্পিত জগৎ শুধু ভিন্নই নয়, তা আমাদের দুনিয়ার চেয়ে আরও উৎকৃষ্ট মানের এবং আরও ন্যায়সঙ্গত। রাজনীতির পরের পদক্ষেপ হলো সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা আমাদের ইহদুনিয়ার সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে। এই কল্পিত জগতের এক তাত্ত্বিক নাম আছে—“ইউটোপিয়া” বা কল্পস্বর্গ, আর কল্পস্বর্গীয় চিন্তাধারাকে গুণীজনেরা একধরনের সামাজিক স্বপ্ন বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রুথ লেভিটাসের মতে কল্পস্বর্গীয় স্বপ্ন “আরও ভালোভাবে জীবনযাপন করার এবং জীবনকে আরও উৎকৃষ্ট করার এক অধীর আকাঙ্ক্ষা”।১ আবার মার্ক্সবাদী দার্শনিক আর্নস্ট ব্লখ বলেন যে এই উন্নত বিশ্বের এবং উৎকৃষ্ট জীবনের আকাঙ্ক্ষা এক “আশার আদর্শ”২ দ্বারা পরিপূর্ণ। আমরা তাহলে বলতে প
আরও দেখুন >>

জীবন এক মহাভারত

জীবন এক মহাভারত। এই মহাভারতের যতটুকু মনে আছে, তার চেয়ে বেশি যে ভুলে গেছি। জীবন এক অনিশ্চিত ভ্রমণ, কোথা থেকে মানুষ যে যায় কোথায়? আমার স্বপ্ন ছিল অধ্যাপনা করব। স্বপ্নভঙ্গ হতে দেরি হয়নি। রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে এক আলোচনাচক্রে আমি ও শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় আমন্ত্রিত হয়েছিলাম। আমি সূচনায় বললাম, একদিন এই ভবনের নিচ থেকে বিমর্ষ মুখে বাড়ি ফিরেছিলাম। চান্স পাইনি। ৪৮ পারসেন্ট পেলে কি এমএসসি-র কোনও এক শাখায় পড়তে পারা যায়? তারপর বর্ধমান, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে চেষ্টা। তাঁদের নিজেদের অধীনস্থ কলেজের বাইরের ছাত্রদের তেমন সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় এখন অনেক। পড়ার সুযোগ এখন অনেক। আমার হয়নি তখন। তাতে শেষ অবধি মন্দ কিছু হয়নি, কিছু একটা হয়েছে। শুধু অধ্যাপক হতে পারলাম না। কিন্তু সেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছি তো। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেছি। সুতরাং যা হতে চেয়েছিলাম তা যেমন হয়নি, হয়েছেও। যা হওয়া খুব কঠিন সেই রাস্তায় নিজের মতো করে চলতে পেরেছি। লেখকের জীবন কঠিন জীবন। বড়ো পত্রিকা নিয়েছে, নেয়নি। সবচেয়ে কঠিন সময় হলো, টের পাওয়া, লেখাটি হয়তো ঠিকঠাক হয়নি। মনে হয় হয়নি। আবার মনে হয়, আমি একই লেখা লিখছি। আগের লেখাকে
আরও দেখুন >>

করোনা : লকডাউন

এখন হয়তো মানুষকে এইভাবেই চলতে হবে—সাবধান-সাবধান-সাবধান—ব্যাস, শুধুই সাবধান। রাস্তাঘাটে চেনা-জানা কারোর সাথে দেখা হলেই তার মানে সাবধান—সাবধানে দাঁড়াও, সাবধানে কথা বলো, সাবধানে চলো, সাবধানে থাকো, সাবধানে টাকা-পয়সা খরচা করো, মানে সাবধান জীবনেরই আর এক নাম হয়ে গেছে, যেন এই করোনাকালে লকডাউনের আগে কক্্খনো মানুষ সাবধানে ছিল না। এখন মানুষের জন্য ‘সাবধান’ শব্দটা এতই জরুরি হয়ে গেছে। আসলে, মানুষকে যে এত বড়ো একটা খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এই দিন যে দেখবে এটা কোনওদিনই কোনও মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি। করোনায় মানুষের মৃত্যু দেখেই কত কত ভালো সুস্থ মানুষও হার্টফেল করেছে। শুধু কি এ দেশেই, পুরো দুনিয়াতেই হুট হুট করে কত কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে। এ কী ভাইরাস যার ছোঁয়া লাগলেই, নাকের জলের মুখের জলের ছিটা লাগলেই করোনার শিকার হয়ে যাচ্ছে মানুষ! কত সাবধানেই না ডাক্তার করোনা রুগিদের নিজের জীবন বাজি রেখে চিকিৎসা করে যাচ্ছে। ডাক্তার, নার্স বা হাসপাতালে আর যারা রুগি সেবা করার লোক আছে, তাদের যতই সালাম করা যাক তাও যেন কম। তবুও ভগবান যেন তাদের ভালো রাখে, সুস্থ রাখে এটাই বলব।
আরও দেখুন >>

করোনা বিশ্বমারি ও আতঙ্ক–এ কি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনারই অঙ্গ?

সমগ্র বিশ্বে গত দু-তিন বছর ধরে যে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে করোনা বিশ্বমারিকে (Pandemic) কেন্দ্র করে তা এককথায় অভূতপূর্ব। স্মরণাতীত কালের মধ্যে সমগ্র পৃথিবীতে এমন দুর্বিপাক মানুষ আগে দেখেনি। এই বিশ্বমারিকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চলছে নানাবিধ বিশৃঙ্খলা, যাতে সর্বস্তরের মানুষ-–বিশেষত সমাজের নিচুতলার অসংখ্য মানুষ চরম দুর্দশায় নিমজ্জিত। বিশেষ করে ভারতবর্ষে এই বিশ্বমারিকে কেন্দ্র করে চলছে নানাবিধ সামাজিক নিপীড়ন ও বিশৃঙ্খলা। এই বিশ্বমারিকে নিয়ন্ত্রণ করার নামে বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি নির্দেশে চলেছে বলগাহীন লকডাউন। এর ফলে ভারতবর্ষে দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭,৩৩৩ কোটি টাকা। ৫৪ দিন লকডাউনের ফলে মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২০,১৫,৯৮২ টাকা। এরই পরিণামে ৪০ কোটি জনসাধারণের জীবনে নেমে আসে চরম সংকট—অর্থনৈতিক ও সামাজিক। এই বিশ্বমারির কবলে অগুনতি শ্রমজীবী মানুষের হয়েছে অকাল মৃত্যু এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছে নিঃস্ব-রিক্ত। এই বিশ্বমারির কবল থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার চাইতেও বেশি উদ্যোগ দেখা গেছে সামাজিক নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করে সেগুলি এড়িয়ে যাওয়ার। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক সৃষ্ট
আরও দেখুন >>

অভিঘাত প্রবল, প্রতিঘাত প্রবলতর হইবে

সম্পাদকের নির্দেশ/পরামর্শ/অনুরোধ-এর তাড়নায় বর্তমান রচনাটির জন্ম। শুনিলাম এবং বুঝিলামও, অতঃপর জনজীবনে ‘নভেল করোনা’র অভিঘাত লইয়া এই পত্রিকায় বিচিত্র অলঙ্কার ও ব্যাকরণে ভূষিত প্রবন্ধ/নিবন্ধের উজ্জ্বল সমাগম ঘটিবে। রচনা প্রকাশিত হইলে লেখকের পুলক জাগে, সম্পাদকও ভাবেন পরিশ্রম সার্থক – ইহাই দস্তুর। তবে পরিতাপের কথা এই যে, পত্রিকার ক্রেতা জুটিলেও পাঠক জুটিবে কিনা এমন সংশয় রহিয়া যায়, জুটিলেও তাহা যৎকিঞ্চিৎ – ইহাও আজিকার দস্তুর। তা ভিন্ন, লিখনশৈলীর অভিঘাতে সমাজজীবনে সচরাচর কোলাহল সূচিত হয় না, ব্যতিক্রম কোটিতে গুটিক। এই দেশ ‘স্মৃতি’ ও ‘শ্রুতি’র দেশ, তাহার রেশই ব্যাপ্ত হইয়া থাকে। তথাপি পাঠকের সহিত কথোপকথনের লোভ জাগে, তাই কালিকলম হইতে রচনাও অনন্তপ্রসবা।
আরও দেখুন >>


গ্রাহক হোন

বাংলা ও বাঙালির চিন্তাভাবনার সঙ্গী হতে জর্নালের সংযোগনীড়ের গ্রাহক হোন।

Subscribe to familiarize yourself with Bangla and Bangali.