আমরা মানুষেরা মাছ খাই, কিছু মানুষ মাছ খায় না। কিছু মাছ মানুষ খায়, অনেক মাছ মানুষ খায় না। যে মাছেরা যখন মানুষ খায় ,তারা কি জানে যে মানুষ খাচ্ছে? জানে হয়তো বা জানে না। তবে মানুষেরা জানে তারা মাছ খাচ্ছে।
মানুষ ইচ্ছে করেই মাছ খায়--কাঁচা, ভাজা, বারবিকিউ, ফিশ ফিংগার আরও যে কত রকমের মাছ খাওয়ার কৌশল-রেসিপি যে তারা জানে!
মাছেরা কখনো ইচ্ছে করে মানুষ খায় না, হয়তো খায়, কিন্তু তা আমি কখনো দেখিনি। কথাটা বললাম এই অর্থে যে, কখনো কোনো মাছকে স্থলে এসে মানুষ ধরে খেতে দেখিনি। কেমন হতো, যদি মাছেরাও সমুদ্র থেকে দলে দলে উঠে এসে মানুষ শিকার করে নিয়ে যেত? হয়তো মানুষকে জিততে পারত না, কারণ মানুষেরা জিম করে রে বাবা, তাদের আলাদা যুদ্ধ করার বাহিনী আছে, বুলেট প্রুফ জিনিসপত্র আছে, আরও কত কী যে আছে …! যাই হোক, মানুষকে জিততে না পারলেও মাছেরা মাছেদের কিন্তু শিকার করে গিলে খায়। ডিসকভারি চ্যানেলে দেখেছি, দেখেছি মাছ কাটতে গিয়ে, পেট চিরে ফেলতে গিয়ে। বড়ো মাছ ছোটো মাছকে, ছোটো মাছ আরও ছোটো মাছকে খাবে এটাই মনে হয় সমুদ্রে জীবনগুলির টিকে থাকার নিয়ম। আরও অনেক নিয়ম থাকতে পারে হয়তো যা আমি জানি না। যেমন, আমাদের মানুষের কত রকম নিয়ম আছে, অপরাধের নিয়ম, শাস্তির নিয়ম, যুদ্ধ করার নিয়ম, যুদ্ধে গিয়ে শহিদ হওয়ার নিয়ম, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে হারিয়ে গেলে মাছকে, হাওয়াকে, সমুদ্রকে অভিযুক্ত করার নিয়ম, ইতিহাস, ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আচ্ছা মানুষের মতো মাছেরাও কি শাস্তি পায়? ওদের কি ফাঁসির ব্যবস্থা আছে? কবর আছে? জানি না। জানি না তাই এটা একটা ‘অভিযুক্ত মাছ আর সমুদ্র’-র গল্প--আর কিছু না।
আমি শুধু গল্প আঁকি।
এ. এছেন